হুতি বিদ্রোহীরা তাদের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা হত্যার জড়িত এমন ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। শনিবার জনসম্মুখে ফায়ারিং স্কোয়াডে এই শাস্তি কার্যকর করে তারা। যে ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে তার মধ্যে ইয়েমেন সেনাবাহিনীর কর্নেল আব্দুলমালিক হুমাইদ রয়েছেন। কারাগার থেকে লেখা তার শেষ চিঠি প্রকাশ করেছে তার পরিবার।
ওই চিঠিতে আব্দুলমালিক হুমাইদ নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। তাকে অন্যায়ভাবে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। ২০১৮ সালের এপ্রিলে হুতি বিদ্রোহীদের রাজনৈতিক প্রধান সালাহ আল সাম্মাদকে বিমান হামলায় হত্যা করে সৌদি জোট। ওই সময় এই ঘটনাকে ইরান সমর্থিত হুতিদের ওপর বড় ধরনের আঘাত হিসেবে উল্লেখ করা হয়। মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগে আসামিদের সারাবিদ্ধভাবে দাঁড় করানো হয়।
ছবি: এএফপি মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগে আসামিদের সারাবিদ্ধভাবে দাঁড় করানো হয়। ছবি: এএফপি হুমাইদ সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের একজন শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা। তিনি নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন পদে নেতৃত্ব দিয়েছেন। হুমাইদ ইয়েমেনের পুলিশ একাডেমি থেকে থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এছাড়া তিনি শরিয়া ও আইনের ওপরও স্নাতক এবং ব্যক্তিগত বেসামরিক আইনের ওপর (সিভিল প্রাইভেট ‘ল’) মাস্টার্স করেন।
মিডিয়ার রিপোর্ট অনুসারে, ২০১৮ সালে কর্নেল আব্দুলমালিক হুমাইদকে হোদেইদাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকা হয়। সেখানে গিয়ে তিনি হুতিদের রাজনৈতিক শীর্ষ নেতা সাম্মাদকে দেখে বিস্মিত হন। হুমাইদ সেখানে থেকে ফেরা মাত্র সাম্মাদকে বিমান হামলায় হত্যা করা হয়। হুমাইদ চিঠিতে লেখেন, ‘মাথা উঁচু করে সৃষ্টিকর্তা এভাবেই অত্যাচারীর কাছে আমার শাহাদাৎ লিখে রেখেছেন।
সুতরাং তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করাই উত্তম। আল্লাহ জানেন, সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে আমি দেশের সেবা করেছি।  তার কাছে আমি সকল অন্যায়কারীর ওপর প্রতিশোধে নেওয়ার আহ্বান জানাই।’ আল আরাবিয়ার খবরে বলা হয়েছে, হুতি বিদ্রোহীরা যে ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে তার মধ্যে
১৭ বছরের একজন শিশুও রয়েছেন।সাম্মাদ হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস পর হুতিরা জোরর্পূবক গুম করে তাদের অজানা জায়গায় রেখে অমানুষিক নির্যাতন করে। ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের এই দৃশ্য হুতি বিদ্রোহীরা তাহরির স্কয়ারে বড় পর্দায় প্রদর্শন করে।